শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস : ২ বছর আগের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ! প্রবন্ধ # ৫৮

ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস : ২ বছর আগের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা !

অত্যাধুনিক ট্রেনে চড়ে এখন বার্লিন থেকে মস্কো কিংবা লন্ডন থেকে লিসবন প্রাত্যাহিক যাতায়াত করে ইউরোপবাসীরা। টিকেট কাটে ‘এসএমএস’ কিংবা ‘অনলাইনে’ যত্রতত্র অনেকটা মোবাইল রিচার্জের মত। জেনে আনন্দিত হই, বিশ্বের অনেক আধুনিক শহরের মত ঢাকার সাথে কোলকাতার ট্রেন চালু হবে সরাসরি, যা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান বৈরিতার কারণে অনেকদিন আগে। অবশেষে স্বপ্নের ট্রেন চালু হয় ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’ নামে ৮ এপ্রিল ২০০৮। অনেকবার ভারত যাতায়াত করেছি বিমান ও সড়ক পথে। এবার আমার নিজে ও আত্মীয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেই ট্রেনে ভারত গমনের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ট্রেন ছাড়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে। বুকিং দেয়ার জন্যে আত্মীয়কে যাত্রার ১০ দিন আগেই প্রেরণ করি বর্ণিত স্টেশনে। জানা যায়, ‘আগাম বুকিং দেয়ার কোন সিস্টেম নেই মৈত্রী এক্সপ্রেসে’, টিকেট কাটতে হবে সরাসরি। তাও আবার ট্রেন ছেড়ে যাওয়া স্টেশন থেকে নয়, কাটতে হবে কমলাপুর থেকে, যদিও ট্রেনটি ছাড়বে ঢাকা ক্যান্ট. স্টেশন থেকে।

আত্মীয় দৌঁড়ান কমলাপুরে আগাম টিকেটের খোঁজে। অনেক কষ্টে বিশাল কমলাপুরের এক কোণে খুঁজে পান শিরোনামহীন ‘আন্তর্জাতিক টিকেট কাউন্টার’, যাতে টিকেট ক্রয়ের ‘‘নিয়মাবলী’’ ডিজিট্যাল কম্পিউটারের যুগে ‘কাঁচা হাতে’ বাংলায় সাদা কাগজে লেখা। যার মোদ্দা কথা হচ্ছে, টিকেট ক্রয়ের জন্যে অবশ্যই আগাম প্রয়োজন ‘ভারতীয় ভিসা’র। পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া কোনভাবেই টিকেট ইস্যু করা সম্ভব নয় বলে জানালেন ‘ইস্যু ক্লার্ক’। শুধু পাসপোর্ট-ভিসাই যথেষ্ট নয়, টিকেট ক্রয়ের জন্যে নির্ধারিত ফর্মে করতে হবে আবেদন যাত্রীকে স্বয়ং। এ ফর্মও প্রদান করার নিয়ম যথাযথ পাসপোর্ট-ভিসা প্রর্দশনের পর। ‘সংসদ সদস্য ও তার পরিবার ভ্রমণ করবেন’ এ কথাতে ‘স্পেশাল কন্সিডারে’ স্টেশন মাস্টারের হস্তক্ষেপে আগাম ‘আবেদন ফর্ম’ প্রদান করা হলো ৬-যাত্রীর। টিকেট ক্রয়ের ফর্মে যাত্রী কর্তৃক পুরণীয় আবশ্যকীয় তথ্যাদি হচ্ছে যথাক্রমে ট্রেনের নং ও নাম, যাত্রার তারিখ, শ্রেণি, আসন নং, যাত্রা কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত, যাত্রীর নাম, লিঙ্গ, বয়স, জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, পাসপোর্ট নং ইস্যু তারিখ ও বাতিল হওয়ার তারিখ, ভিসা নং ইস্যু তারিখ ও বাতিল হওয়ার তারিখ, কোন শ্রেণির বার্থ পছন্দ, সঙ্গে থাকা শিশুর বিবরণ, আবেদনকারীর নাম ও স্বাক্ষর, তারিখ, মোবাইল নম্বর ও সময় ইত্যাদি।

অবশেষে বর্ণিত ফর্ম পুরণ করে যথাযথ ভিসা প্রাপ্তির পর ৫-যাত্রীর টিকেট কাটা হলো উচ্চ শ্রেণিতে ১,৯১০/- হিসেবে প্রতিটি। সংসদ সদস্য হিসেবে অনুরোধ জানানো হলো, ভিসা ছাড়াই পাসপোর্ট নম্বরের ভিত্তিতে বাকি টিকেটটি ইস্যু করার জন্যে, কারণ বাকি যাত্রীর (সাংসদ কন্যার) ভারতীয় ভিসাটি পাওয়া যাবে যাত্রার আগের দিন। কিন্তু ‘কঠোর আইনে’র কারণে কিছুতেই টিকেট ইস্যু করতে রাজি হলেন না ইস্যু ক্লার্ক, যদিও ইস্যৃকৃত টিকেটের কোথাও ভিসা নম্বর কিংবা এই সম্পর্কিত কোন তথ্য নেই। যাত্রার আগের দিন বিকেল সাড়ে চারটায় পাওয়া গেল সাংসদ কন্যার ভিসাসহ পাসপোর্টটি। কিন্তু কমলাপুরের ‘আন্তর্জাতিক টিকেট কাউন্টার’ বন্ধ হওয়ার সময় হচ্ছে ‘ঠিক বিকেল ৫টা’। যানজটপূর্ণ ঢাকায় গুলশান ভারতীয় দূতাবাস থেকে কমলাপুরে ৩০-মিনিটে পৌঁছা কখনোই সম্ভব নয় রূপকথা বা সিনেমা ছাড়া। আবার ৫টার পর কমলাপুর কিংবা যাত্রার প্রাক্কালে ঢাকা ক্যান্ট. থেকে তাৎক্ষণিক টিকেট ইস্যু করার কোন ব্যবস্থাও রাখেননি রেল কর্তৃপক্ষ। অতএব একই পরিবারের ৬ যাত্রীর ৫-জন ট্রেনে উঠতে সমর্থ হলো, বাকি নারী যাত্রী রেল কর্তৃপক্ষের ‘যাত্রী-অবান্ধব’ নীতিমালার কারণে বাধ্য হয়ে বিমানে টিকেট কিনে ‘আগাম’ কোলকাতা গিয়ে বসে রইল অতিরিক্ত টাকা খরচ করে।

সকাল ৭.১৫ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ার কথা থাকলেও ৭.৪৫ মিনিটে ট্রেনটি যাত্রা আরম্ভ করলে, কারণ হিসেবে জানা গেল ৭.১৫ হচ্ছে কমলাপুরের টাইম, মানে ট্রেন ঢাকা ক্যান্ট. থেকে ছাড়লেও সময় দেখানো হয়েছে কমলাপুর থেকে ছাড়ার, চমৎকার যুক্তি বটে! অবশেষে ২৩৬ আসনের ট্রেনটি মাত্র ৬৪-জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করলো কোলকাতার উদ্দেশ্যে। ১০ মিনিট চলার পর টঙ্গীর নিকটে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ হিসেবে ‘গার্ড’ জানালেন ‘নোয়াখালী লোকাল’কে পাস করতে ‘মেত্রী’ ট্রেনটি দাঁড়িয়ে আছে। মানে আন্তর্জাতিক একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে, লোকাল একটি ট্রেনকে ‘অগ্রাধিকার’ দিতে। পথে পথে নানাস্থানে আরো বেশ ক’বার ট্রেনটি থামে একই যুক্তিতে। ঈশ্বরদি গিয়ে ১০-১৫ মিনিট থেমে থাকে ট্রেনটি ‘তেল/পানি’ নেয়ার জন্যে, যদিও সেখান থেকে কোন যাত্রী উঠতে কিংবা নামতে দেয়া হয়না। অবশেষে দর্শনা পৌঁছলে সকল যাত্রীকে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াও সঙ্গে থাকা সকল মালপত্র নিয়ে নামতে হয় ‘কাস্টম চেকিংয়ের’ জন্যে, যদিও ট্রেনে ওঠার আগেই সকল যাত্রীর মালপত্র ‘স্কানিং’ করে ট্রেনে তোলা হয়েছিল। ট্রেনটি প্লাটফর্মের চেয়ে বেশ উঁচু হওয়ার কারণে যাত্রীরা নিজ উদ্যোগে তাদের সকল মালপত্র নিয়ে কাস্টম হলে গিয়ে ‘চেকিং’ করিয়ে পুনরায় মালপত্র নিয়ে ট্রেনে ওঠাকে খুবই বিরক্তিকর ও ঝামেলাপূর্ণ মনে করে, বিশেষ করে মহিলা, অসুস্থ্য ও বৃদ্ধ যাত্রীরা।

একজন বিমানযাত্রী বিমানবন্দরে তার মালপত্র ‘স্কানিং’ করে বিমানে তোলার পর, পুনরায় বিমানে কিংবা পরবর্তী কোন স্টেশনে এভাবে পুন. ‘কাস্টম’ চেকিংয়ের বিধান আমার জানা মতে বিশ্বে কোথাও নেই কিন্তু এ ট্রেনটিতে তাই করা হচ্ছে, যাতে সকল যাত্রী যারপরনাই বিরক্ত। ট্রেনটির ভেতরের অবকাঠামো/আসন ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, কর্মরত স্টাফদের আচরণ বলতে গেলে চমৎকার।

বাংলাদেশ পর্বের পর শুরু হয় ২য় ভারত পর্ব। দর্শনায় বাংলাদেশের ইঞ্জিনের বদলে ভারতীয় ইঞ্জিন ও বাংলাদেশী স্টাফদের নেমে থাকতে হয় কেবল ৩-জন ছাড়া সকলকে। কয়েক মিনেটের মধ্যে ট্রেনটি বিশাল খাঁচার ভেতর দিয়ে ভারত তথা ‘গেদে’ স্টেশনে প্রবেশ করে। দুপুর দু’টোয় ট্রেনটি সেখানে পৌঁছলে সকল যাত্রীকে একই পদ্ধতিতে মালপত্রসহ নামতে হয়ে গেদে স্টেশনে। গেদে-তে ‘সফল ইমিগ্রেশন’ সমাপ্তির পর সকল যাত্রীকে ‘পুলসিরাত’সম ভারতীয় কাস্টমের কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, জবাব দিতে হয় নানাবিধ প্রশ্নের। পরীক্ষা পাসের পর সকল যাত্রীকে একটি কক্ষে কমপক্ষে ২-ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় ট্রেনটি ছাড়ার ‘টাইম’ হওয়ার জন্যে। ইমিগ্রেশন-কাস্টম শেষ হলেও কোন যাত্রীই ‘গেদে’ থেকে চলে যেতে পারেনা, তার বাড়ি গেদে কিংবা এর কাছাকাছি হলেও, তাকে কমপক্ষে ১১৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘কোলকাতা’ চিৎপুর স্টেশনে নেমে আবার ফিরে আসতে হয় অন্য উপায়ে তার গন্তব্যে। এমনকি ‘এসি’ শ্রেণির যাত্রীকেও বর্ণিত ২-ঘন্টা ট্রেন থেকে নামিয়ে বসিয়ে রাখা হয় ৪০ ডিগ্রীর অসহনীয় তাপমাত্রার গেদের ক্ষুদ্র পরিসরের কুঠরীতে। সাড়ে চারটায় ট্রেনটি কোলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে, নানা ছোটবড় স্টেশনে থেমে অবশেষে সন্ধ্যে ৭টায় কোলকাতা পৌঁছার পর যাত্রীরা স্বাধীনমত চলে যায় যার যার গন্তব্যে, যদিও সারাপথ তাকে আটকে রাখা হয়েছিল খামোকা!

কোলকাতা থেকে ১৮ মে’র ট্রেনে ঢাকা ফেরার টিকেট কাটতে যাই ‘ফেয়ারলি প্লেসে’ ৪-দিন আগেই। কাউন্টারের ভদ্র মহিলা যথারীতি ডাউশ সাইজের ‘ইংরেজী-হিন্দী’ বাই ল্যাঙ্গুয়াল ফর্ম পুরণ করতে বলেন যথারীতি প্যাসেঞ্জারের স্বাক্ষরসহ। ৬টি ফর্ম পুরণ করে (এবার বর্ণিত বিমান যাত্রীসহ) যাত্রীর স্বাক্ষর হোটেল থেকে করিয়ে পাসপোর্টসহ জমা দিলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়, টিকেট ক্রয়ের জন্যে ৬-যাত্রীর স্বশরীরে উপস্থিতি কিংবা ‘লেটার অব অথরিটি’ লাগবে টিকেট কেনার জন্যে, মানে ঢাকার চেয়ে এক ডিগ্রী উপরে। একটি কুপে ৬টি সিট থাকলেও, হয়রাণীমূলকভাবে ৬টি সিট দেয়া হয় দুটো কুপে কিন্তু ঢাকা থেকে ভাড়া ১৯১০ টাকা হলেও, ভারতীয় মুদ্রায় ভাড়া নেয়া হয় ৮৬৮ টাকা, যা বাংলাদেশী ১১০০ টাকার সমান। একই ট্রেনে ২-দেশে ২ রকম ভাড়া যাত্রীদের বিস্মিত করে!


৭.১০ টায় ‘ডিপারচার’ টাইম থাকাতে ৬.৩০টায় কোলকাতা স্টেশনে প্রবেশ করে খোঁজ নিলে স্টেশনে দাঁড়ানো কর্মকর্তারা ট্রেনকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন প্রায় ১কিলো মিটার দূরে, যদিও প্রবেশ মুখের কাছেই প্লাটফরম খালি। যাত্রীরা তাদের ভারী লাগেজপত্র টানতে টানতে হেঁটে চলেন দূরের ঢাকাগামী ট্রেনের উদ্দেশে। ২/৩টি ট্রলি স্টেশনে থাকলেও অধিকাংশ যাত্রীই ট্রলি পায়না। বিদেশীসহ স্বদেশী যাত্রীরা যথারীতি ‘স্কানিং’ ও সিকিউরিটি চেকের পর মালপত্রসহ ট্রেনে ওঠার পর ইতঃপূর্বে কথিত বিরক্তিকর গল্প মত ‘গেদে’ নামেন আরেক পরীক্ষায়। সাংসদ কন্যা প্রাগুক্ত বর্ণনানুসারে বিমানে গিয়ে ট্রেনে আমাদের সহযাত্রী হওয়াতে, ‘গেদে’র ইমিগ্রেশন অফিসার এটিকে ‘মারাত্মক অনিয়ম’ হিসেবে গণ্য করলেন। এভাবে ঝঞ্ঝাটের ক্রমানুসারে গেদে, দর্শনা, ঈশ্বরদির পর ‘আন্তর্জাতিক ট্রেনটি’র যাত্রীরা রাতে ‘ভুতুরে’ লোডসেডিংযুক্ত (ইচ্ছেকৃত কি?) ঢাকা ক্যান্ট. স্টেশনে পৌঁছে। অন্ধকারে মালপত্র নিয়ে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে কোন রকমে স্টেশন ত্যাগ করে ‘অন্ধকার বাংলাদেশ’কে গালি দিতে দিতে।



অথচ চমৎকার এ ট্রেনটিকে সচল করে ‘যাত্রী বান্ধব’ করা কোন কঠিন কাজ বলে মনে হয়না, প্রয়োজন নিম্ন বর্ণিত উদ্যোগের। টিকেট বিক্রির জন্যে পাসপোর্ট-ভিসার বাধ্যবাধকতা না থাকলে ক্ষতি কি? কোন যাত্রী যদি টিকেট ক্রয়ের পর ভিসা জটিলতায় না যেতে পারে, তাতে রেলওয়ের কোন ক্ষতি হবে কি? এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট টাকা কেটে রেখে বাকি টাকা ফেরত দিলেই আগাম টিকেট দেয়ার যৌক্তিকতা থাকে। আর যাত্রার পূর্ব মূহূর্তে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকেট ইস্যু করা কি খুব কঠিন কাজ? স্কানিং করে মালপত্র তোলার পর তা চেকিং-এর নামে পুনরায় দর্শনা বা গেদে-তে নামানোর যৌক্তিকতা হাস্যকর নয় কি? একজন বাংলাদেশি বা ভারতীয় সচেতন যাত্রী কি জানে না আন্তর্জাতিক চেকিং রুলস? আর ইচ্ছে থাকলেও সহজেই হতে পারে ট্রেনের ভেতরে ‘চলমান ইমিগ্রেশন’। আর ইমিগ্রেশন যেহেতু বাংলাদেশে ও ভারতের শেষ স্টেশন তথা দর্শনা ও গেদে-তে হচ্ছে, তবে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ঈশ্বরদি থেকে যাত্রী উঠলে কিংবা টাঙ্গাইল ঈশ্বরদির যাত্রীকে ঢাকার লোডসেডিংযুক্ত অন্ধকার স্টেশন টেনে এনে পুনরায় ঈশ্বরদি পাঠানো কোন্ যুক্তিতে গ্রহণযোগ্য? একই যুক্তি ভারতের বিভিন্ন স্টেশনের যাত্রীদের জন্যে। উপর্যুক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করলে ‘মৈত্রী’ ট্রেনটি প্রকৃতপক্ষেই ‘এক্সপ্রেস’ ট্রেনে পরিণত হবে, অন্যথায় যাত্রী সংকটে একদিন হয়তো ট্রেনটি বন্ধও হতে যেতে পারে বর্ণিত ‘জটিলতর’ যাত্রী-অবান্ধব আইন কানুনের কারণে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন