শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এক মূহূর্তে বাঙালি আর বাংলাদেশের ইতিহাস ! # ৬৯

এক মূহূর্তে বাঙালি আর বাংলাদেশের ইতিহাস !
হাজার বছরের পুরণো কথকথা। ‘বং’ থেকে ‘বঙ্গ’। কোল, ভীল, মুণ্ডা আর নিষাদের স্বাধিন আবাস ভূমি। পাল শাসনে আধা পরাধীন ‘প্রাকৃত’ মাতৃভাষা। সেন যুগে কৃত্রিম ‘সংস্কৃত’ দাপটে শৃঙ্খলিত বাঙালি। খিলজী থেকে সিরাজুদ্দৌলা অবধি মুসলিম শাসনে ‘অপসৃত’ বাংলা, রাজত্ব ‘ফার্সি’র। দু’শ বছর বাঙালি গোলাম ‘ইংরেজি’র। তেইশ বছর ‘উর্দু’র। বায়ান্ন শেষে একাত্তরের ডাক, ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’’।

একাত্তর। কোটি মানুষ শরনার্থী। সৃষ্টি মুক্তিযোদ্ধা-রাজাকার। ন’মাস রক্তপণ যুদ্ধ, ত্রিশ লাখ মানুষের রক্তে কেনা ‘স্বাধিনতা’। আটক ‘রাজাকার’ নামীয় ‘যুদ্ধাপরাধী’। মানুষ পেল স্বাধীনতা, সংবিধান, পতাকা, ভাষা আর ‘বাংলাদেশ’! পোড়া মাটিতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বীজ। মানুষ মরলো না খেয়ে। নেতা দিশেহারা কৃষক-শ্রমিকের মৃক্তির সনদ আনলো ‘বাকশাল’। কত প্রপাগান্ডা তার। এলো ‘পনের আগস্ট পচাত্তর’। হারিয়ে গেল ‘সাম্যবাদ’ আর ‘অসাম্প্রদায়িকতা’। পরাজিত শক্তি আর সাম্প্রদায়িকতা জোট বাঁধলো।

শাসক এলো জিয়া-এরশাদ, আবার জিয়াপত্নী। ‘মুক্তিযুদ্ধ’ আর ‘যোদ্ধারা’ হারিয়ে গেল, লালিত হলো পরাজিতরা। ধ্বংস হলো শিক্ষা, সংস্কৃত, যুব সমাজ আর নৈতিকতা। পুরো দেশে নীতিহীনতা আর লোভের প্রতিযোগিতায় নিমজ্জিত হলো। বাঙলাদেশ হলো দুর্নীতিবাজ, ভোগবাদী আর সাম্প্রদায়িক।

আবার এলো স্বাধীনতার দল। ‘স্বৈরশাসন’ হলো ‘অবৈধ’ ঘোষিত উচ্চাদালতে। এবার বহুদিনের কাঙ্খিত ‘ট্রাইবুনাল’। মুখোমুখি লড়াই একাত্তরের যোদ্ধা, কোটি বাস্ত্তহারা শরণার্থী, লাখো বোনের শম্ভ্রমের অশ্রু, আর ত্রিশ লাখ স্বজনের কান্নাজড়িত কন্ঠ ভার্সাস বিরোধি পক্ষ।

মুক্ত চেতনার বাঙলাদেশ। কতদূর! আর কতদূর!!!!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন