শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

তাইওয়ানের "সানঝি" গাঁয়ের "ক্যাথি-কং" এর কৃষি কাজ (শেষ পর্ব) # ৭৮

তাইওয়ানের "সানঝি" গাঁয়ের "ক্যাথি-কং" এর কৃষি কাজ (শেষ পর্ব)

সানঝি ম্যাগনেটিক ট্রেন স্টেশনে পৌঁছার আগেই পাকা সড়কের পাশে দেখলাম অন্তত ১০টি ক্যাম্প জাতীয় ঘর, যাতে ৭ দিন করে থাকে বিবিধ ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। তারা কৃষিকাজসহ নানাবিধ কাজে জড়িত হয় গ্রামের মানুষদের সাথে। এটাও তাদের পাঠ্য তালিকার অংশ।

ক্যাথি "ম্যান্ডারিন" ভাষায় বুঝিয়ে বললো আমাদের কথা। ১০ মিনিটের মাথায় অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী তরুণ তরুণি আমাদের অভ্যর্থনা জানিয়ে ভেতরে নিয়ে গেল। অনেক কিছু দেখালো আমাদের, সবচেয়ে আকর্ষণীয় লাগলো আমাদের "কৃষি খামারের গান"। ৫ শিক্ষার্থী একটা লেটুস পাতার বাগানে গর্তে ঢুকে মাটি দ্বারা নিজেদের আবৃত করে ম্যান্ডারিন ভাষায় কৃষকদের গান (আমাদের জারি/সারি গানের মত) শোনালো। ভাষা না বুঝলেও আমরা বিস্মিত আর বিমোহিত হলাম তাদের গানের সুর, গাওয়ার ভঙ্গী ও অন্যদের হাততালি দিয়ে তাদের অনুপ্রেরণা দেয়ার স্টাইলে।

৫.১০ মিনিটে আমাদের নির্ধারিত ট্রেন থাকাতে মনকে অনেকটা জোর করে নিজেদের ট্রেনে তুললাম। কিন্তু ৪০০ কিমি বেগে ট্রেন চললেও আমাদের মন সানঝি গ্রামেই পরে রইল। ৬টার দিকে তা্‌ইপে প্রধান রেলস্টেশনে ট্রেন থামলেও, আমাদের স্মৃতি আছন্ন করে রাখলো সানঝি গ্রাম আর ঐ গ্রামের সপ্তপদি কৃষি আর কুষকের কাজ আর ভালবাসা। পরদিন বিমানে উঠেও সানঝি গ্রামকে ভুলতে পারলাম না আমরা। তাই বিদায়ের আগে ফান করে ক্যাথিকে সহযাত্রি বন্ধু বললো, ক্যাথি যাবে বাংলাদেশে? অনেক সুন্দর দেশ, তোমায় বউ করে রাখবো, কোন কাজ করতে হবে না। অল্প ইংরেজি জানা ক্যাথি হেসে বলেছিল, হ্যা নিশ্চয়ই যাব একদিন। ক্যাথি কি সত্যিই আসবে শিশিরস্নাত নবান্নের বাংলাদেশে?
ছবি :
শিক্ষার্থীদের কৃষি খামারে কৃষকদের গান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন